Friday, April 28, 2017

নোয়াখালীদের হাতে মহাত্না গান্ধীর ছাগল চুরির সত্য ঘটনা

ফ্যান ক্লাব অফ মিয়ারহাটসহ অন্যান্য ফেইজবুক  পেইজে ও ইউটিউব এ নোয়াখালী মানুষের মহাত্না গান্ধীর ছাগী চুরির ট্রল দেখে কিছুটা কৌতুহল হয়ে বিষয়টা নিয়ে সত্য না বানোয়াট তা জানার আগ্রহ হয়ে গেলো । ঘন্টাখানি ঘাটাঘাটি করে যা জানতে পেলাম তাতে পুরা এই মাসের বিনোদন হয়ে গেছে ।
মহাত্না গান্ধী তার যে কোন সফরে তার সাথে একটি ছাগী রাখতেন । এমনকি তার লন্ডন সফরকালে ও সাথে নিয়ে গেছেন । ছাগীটার নাম ছিল "নির্মলা" আর ছাগী রাখার উদ্দেশ্য একটাই ছাগলের দুধ তার খুব পছন্দ ।

সময়টা ১৯৪৬ সাল তখন পুরো নোয়াখালী জুড়ে শুরু হয় ভয়ঙ্কর হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা।দাঙ্গার খবরটি মহাত্মা গান্ধীর কানে পৌছালে দাঙ্গা নিরসনে তিনি তৎক্ষনাত নোয়াখালী আসার সিদ্ধান্ত নেন এবং ৭ই নভেম্বর, ১৯৪৬ এ গান্ধী নোয়াখালীর চৌমুহনী রেল ষ্টেশনে এসে পৌছেন ।
তো নোয়াখালী থাকাকালীন সময়ে সেই ছাগীকে ক্যাম্পের কোনায় বেধে রেখে গান্ধী ঘুমাচ্ছিলেন। ঘুম থেকে উঠে দেখেন দুষ্টু এলাকাবাসী সেই ছাগীকে রেধে খেয়ে ফেলেছে। প্রিয় ছাগলটাকে হারিয়ে মহাত্না গান্ধীজী তখন কষ্টে ফেটে পড়েছিলেন ।সেই থেকে বিভিন্ন লোকে রসিকতা করে নোয়াখালীবাসীকেগান্ধীর ছাগল চোর বলে আখ্যায়িত করেন।
তখনকার জমিদার নোয়াখালীর প্রথম ব্যারিষ্টার হেমন্ত কুমার ঘোষ জয়াগে গান্ধীজির আগমন এবং তার বাড়ীতে অবস্থানের স্মৃতিকে ধরে রাখতে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি মহাত্মাকে দান করেন এবং তার পিতামাতার নামানুসারে ‘’অম্বিকা কালীগঙ্গা চেরিটেবল ট্রাষ্ট’’ গঠন করেন।
স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৫ সালে ‘’অম্বিকা কালীগঙ্গা চেরিটেবল ট্রাষ্ট’’ ভেঙ্গে ‘’গান্ধী আশ্রমট্রাষ্ট’’ সৃষ্টি করে।
উক্ত ট্রাষ্টটি বর্তমানে নোয়াখালী, লক্ষীপুর এবং ফেনী জেলার প্রায় ৩৩২ টি গ্রামে কৃষি, মৎস, শিক্ষা, মানবিক উন্নয়ন, হস্ত ও কুটির শিল্পসহ আরো নানান কর্মসুচী নিয়ে চলছে।
তবে ভ্রমণকারীদের জন্য সবচেয়ে অকর্ষনীয় বস্তু হচ্ছে এখানকার ‘’গান্ধী স্মৃতি জাদুঘর’’, যেখানে আপনি দেখতে পাবেন আলোকচিত্রে গান্ধীর কর্মময় জীবন, নোয়াখালীতে গান্ধী এবং ভারত সরকার থেকে দেয়া গান্ধীর একটি আকর্ষনীয় ব্রোঞ্জের মূর্তি। আর আশ্রম একালার গান্ধীর বানীসম্বলিত কিছু সাইনবোর্ড।
তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো আলোচিত ছাগীর("নির্মলার) কোন ছবি নেই ওই জাদুঘরে। হয়তোবা নোয়াখালীবাসীর দুর্নাম হবে ভেবে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ সেই ছাগীর ব্যাপারটা বেমালুম চেপে রেখেছেন ।
ভাই ইতিহাস কখনো চাপা দিয়ে রাখা যায় না । আপনারা যতোই চাপা দিয়ে রাখেন অন্য দেশের বিশেষ করে ইন্ডিয়ান ব্লগাররা বসে নেই তারা রীতিমতন ছাগলের ছবিসহ ছাগলের জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরেছেন ।
জাতির উদ্দেশ্য "নির্মলার " ছবি দেওয়া হলো ।

Sunday, April 16, 2017

কাজী তরিকুল ইসলাম স্বপন ভাইকে নিয়ে নানা স্মৃতিচারন


ছবিটি আরো প্রায় ১৪ বছর আগের শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের ছাত্রলীগের অনুষ্ঠান থেকে তোলা ছবিটি তুলেছেন প্রভাষক আল-মামুন ,তার পুরনো স্মৃতির অ্যালবাম থেকে নেয়া মিয়ার হাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়য়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, সকলের পরিচিত, মিয়ার হাটের কৃতি সন্তান, শিকার মঙ্গল ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মরহুম কাজী তরিকুল ইসলাম স্বপন ভায়ের ছবি  ৬ই মার্চ ২০১৬ ইং গভীর রাতে মিয়ারহাটে ডাকাতিকালে ডাকতদের অপকর্মে বাধা দেওয়ায় কারণে ডাকাতের গুলিতে ছুরিকাঘাতে মারাত্মকভাবে সোহেল মৃধাসহ উনি আহত হন এরপর মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মার্চ ২০১৬ ইং দুপুরের দিকে আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যানকাজী তরিকুল ইসলাম স্বপন ভাই ছিলেন একজন সাহসী, তারুণ্যের প্রতীক, পরোপকারী মানুষমৃত্যুর আগে যিনি রেখে গেছেন মাসুম দুটি বাচ্চা (মেয়ে) , স্ত্রীর, পরিবার ,বহু আত্নীয় স্বজন আমাদের মিয়ারহাটকে
  মার্চ তার  মৃত্যুবাষিকী
যে যেখানে আছেন তার জন্য মহান আল্লাহতালার কাছে দোয়া করবেন আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুক ভাল থাকুক তার পরকাল

কাজী তরিকুল ইসলাম স্বপন ভাইকে নিয়ে সপ্তাহজুড়ে থাকছে নানা স্মৃতিচারন চোখ রাখুন মিয়ার হাটের পেইজের সাথে থাকুন শেয়ার করে টাইম্-লাইনে রেখে দিন